রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১৭ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা: এসএসসি পরীক্ষা ফেলে প্রেমিকের হাত ধরে অজানার উদ্দেশ্যে প্রেমিককে নিয়ে উধাও হয়ে গেল সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীণী। উপজেলার বড়দল উত্তর ইউনিয়নের পৈলনপুর গ্রামের ইছা মিয়ার ১৬ বছরের কিশোরী কন্যা বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থী তানজিনা বেগম গত ৩০ জানুয়ারি সোমবার বিকেলে প্রেমিকের হাত ধরে অজানার উদ্দেশ্যে উধাও হয়ে গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় নানা গুঞ্জন ও তোলপাড় শুরু হয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসি ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়দল উত্তর ইউনিয়নের পৈলনপুর গ্রামের ইছা মিয়ার ১৬ বছরের কিশোরী কন্যা বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থী তানজিনা বেগম গত ৩০ জানুয়ারি সোমবার বিকেলে বিদ্যালয়ের বিশেষ ক্লাসে আসার কথা বলে একই ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল মন্নাছ ও ১, ২ ও ৩নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্যা আমতৈল গ্রামের স্বপ্না বেগম দম্পতির ছেলে বাদাঘাট সরকারি ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী সারোয়ার হোসেনের হাত ধরে পালিয়ে যায়।
বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম দানু বলেন, তানজিনা আমার স্কুল থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল, কিন্তু সে পরীক্ষায় কী কারণে অংশগ্রহণ করেনি তা আমার জানা নেই।
এ ঘটনার পর তানজিনার চাচা বাদাঘাট বাজার বণিক সমিতির কথিত সাধারণ সম্পাদক ও বহুল আলোচিত বাদাঘাট বাজারের পান দোকানদার মানিক হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামী মাসুক আহমেদ ও মাসুদ, ইউপি সদস্যা স্বপ্না বেগমের বাড়িতে গিয়ে ভাতিজিকে ফিরিয়ে দিতে নানাভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। শুধু ইউপি সদস্যাকেই নয়, প্রতিশোধ নিতে বাদাঘাট সরকারি ডিগ্রি কলেজে এসএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী শাপলা বেগমকেও তুলে নিয়ে যাবার হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে সন্ত্রাসী মাসুক ও তার লোকজন।
ইউপি সদস্যা স্বপ্না বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলেকে ফুসলিয়ে নিয়ে মাসুকের ভাতিজি বাড়ি থেকে আমাদের অজান্তে পালিয়ে গেছে, এতে আমাদের কী অপরাধ? কিন্তু এ ঘটনার পর মাসুক, তার ভাতিজা বোরহান, রাকাব উদ্দিন, হত্যা মামলার আসামী ভাগ্নে মনসুর, শ্যালক আজহারুল ইসলাম সোহাগসহ ও তার লোকজনের নানা রকম হুমকির কারণে বর্তমানে আমার কলেজ পড়–য়া মেয়ে কলেজে আসা বন্ধ হয়ে গেছে, মাসুক প্রতিশোধ নিতে আমার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যাবে বলেও লোকজনের মাধ্যমে অহরহ হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে।
শুধু এখানেই শেষ নয়, এ ঘটনার সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য হত্যা মামলার আসামী মাসুক ও তার লোকজন স্থানীয় সাংবাদিকদেরকেও মুঠোফোনে এমনকি প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। বাণিজ্যিক কেন্দ্র বাদাঘাটে রাতদিন তার লালিত সন্ত্রাসীরা পুলিশের সামনেই লাঠিসোটা ও অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে বেড়াচ্ছে।
এ ব্যাপারে মানিক হত্যামামলার আসামী কথিত বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুক আহমেদ ওরফে মাসুদের বক্তব্য জানতে শনিবার যোগাযোগ করা হলে সে বলে, আমি কাউকে হুমকি দেইনি, আমি আমার ভাতিজিকে ফিরিয়ে দিতে সারোয়ারের পরিবারের ওপর কিছুটা চাপ দিয়েছি। তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শ্রী নন্দন কান্তি ধর বলেন, এ বিষয়ে শনিবার পর্যন্ত কোন পক্ষই থানায় অভিযোগ করে নি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।